বিশ্বকাপের প্রথম ৪ টে ম্যাচে মাঠেই নামানো হয়নি তাঁকে, ড্রেসিং রুমে বসে খেলা দেখেছিলেন মহম্মদ শামি। বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে তাঁর দিকেই তাকিয়ে গোটা দেশ। সেমিফাইনালে একা হাতে ৭ উইকেট নিয়ে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়া শামিই এখন টিম ইন্ডিয়ার মুকুটহীন সম্রাট। ঈশ্বর তাঁর ছেলে এবং দেশকে জিতিয়ে দেবেন, বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে দৃঢ় বিশ্বাস শামির মায়ের।
কেউ কেউ বলছেন হার্দিকের চোট যেন শাপে বর হয়েছে। নইলে হয়ত শামির এই বিধ্বংসী রূপ দেখাই হাত না দেশবাসীর। মাত্র ৬টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি, আর তাতেই ২৩টা উইকেট নিয়ে , তিনি বিশ্বকাপের সর্ব্বোচ্চ উইকেট শিকারি। একেকটা ম্যাচে ৫টার বেশি করে উইকেট ঘরে তুলেছেন শামি। সেমিতে নিউজিল্যান্ডের ৭টা উইকেট নিয়েছেন তিনি। তাঁকে নিয়ে এখন উদযাপনের শেষ নেই।
হার্দিক চোট না পেলে নাকি শামিকে খেলানোরই কথা ছিল না টিম ইন্ডিয়ার। এমনটাই জানিয়েছেন ভারতীয় দলের ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠৌর। হার্দিক বিশ্বকাপ থেকে সরে না দাঁড়ালে ‘শামি-ফাইনালের’ সাক্ষী থাকা হতই না। শামি এ বারের বিশ্বকাপে শুধু নেদারল্যান্ডস ম্যাচে উইকেট পাননি। তার আগে চারটি ম্যাচে খেলেননি। অর্থাৎ ৫ ম্যাচেই তিনি প্রতিপক্ষের ‘যম’ হয়ে উঠেছেন।