বিশ্বজুড়ে যেন স্পোর্টস কার্নিভাল চলছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, কোপা, ইউরো শেষ হয়েছে। এবার অলিম্পিক্সের পালা। অলিম্পিক্সকে পৃথিবীর সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ প্রতিযোগিতা হিসেবে ধরা হয়। প্রতিটি দেশেরই ক্রীড়াবিদদের স্বপ্ন থাকে এই আসরে অন্তত একবার অংশগ্রহণ করা। আর অলিম্পিকে পদকজয় যেন সেই স্বপ্নের মধুরেণ সমাপয়েৎ।
অলিম্পিক্সের কথা উঠলেই চোখে ভাসে একটি চিরাচরিত সিম্বল। একটি সাদা পতাকা আর তার উপর নীল, কালো, লাল, হলুদ এবং সবুজ রঙা পাঁচটা রিং। অলিম্পিক্স শুরুর আর কয়েকদিন বাকি। তার আগে আজ জেনে নেওয়া যাক এই পাঁচ চাকতির গল্প।
পাঁচ চাকতির অর্থ কী ?
অলিম্পিক্সের সাদা পতাকার উপর দেখা যায় নীল রঙের গোল চাকতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে হলুদ। আবার হলুদের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে কালো। আবার কালোর পাশের লাল রঙের গোল চাকতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে সবুজ। আবার ওই সবুজের সঙ্গে রয়েছে কালোর সংযুক্তি।
এই পাঁচ রঙের মানে সম্পূর্ণ আলদা। যিনি এই রিং তৈরি করেছিলেন তাঁর ভাবনা অনুযায়ী, এই পাঁচ রঙ পাঁচটি মহাদেশকে বোঝাচ্ছে। নীল রঙের মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে ইউরোপকে। এশিয়াকে বোঝাতে ব্যবহার করা হচ্ছে হলুদ। আর কালো রঙ বোঝাচ্ছে আফ্রিকাকে, সবুজ আর লাল রঙ বোঝাচ্ছে ওশিয়ানিয়া আরামেরিকাকে।
১৯১২ সালে অলিম্পিক্সের এই প্রতীকটি তৈরি করেন আধুনিক অলিম্পিকের অন্যতম উদ্যোক্তা পিয়েরে দে কোবার্টিন। একটি সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের উপর তিনি এই প্রতীকী এঁকেছিলেন। তাঁর ব্যাখ্যা অনুযায়ী, এই পাঁচ রঙা রিং পাঁচটি মহাদেশের প্রতীক। তাছাড়াও গোটা পৃথিবীতে এমন কোনও দেশ নেই, যাঁদের জাতীয় পতাকায় সাদা, নীল, কালো, লাল, হলুদ অথবা সবুজ রঙের ব্যবহার নেই।
১৯২০ সালে অলিম্পিক্সে প্রথমবার এই পাঁচ রঙা রিং প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। ১৯৫৭ সালে এতে কিছুটা পরিবর্তন নিয়ে আসা হয় আইওসি-র তরফে। এরপর ১৯৮৬ সালে আইওসি-র গ্রাফিক স্ট্যান্ডার্ড অলিম্পিক প্রতীকের নতুন ভার্সান প্রকাশ করা হয়েছিল। কিন্তু ২০১০ সালে পুনরায় ফিরিয়ে আনা হয় পিয়েরের মডেল।
প্যারিস অলিম্পিক্স শুরু হচ্ছে ২৬ জুলাই থেকে। চলবে ১১ অগাস্ট পর্যন্ত। সেন নদীতে হবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। অভিনব উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে ইতিমধ্যেই আইফেল টাওয়ারে উন্মোচন করা হয়েছে অলিম্পিক্সের প্রতীক বা সিম্বল।