জার্সি নম্বর ১০। বললেই মনে পড়ে লিওনেল মেসির কথা। আরও এক জনের কথা। যিনি ২২ গজ শাসন করতেন একসময়। তিনি মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকর (sachin tendulkar)। নেটদুনিয়া আবেগে ভাসছে মেসির জয় নিয়ে। একই সঙ্গে টাইমলাইন রিফ্রেশ করলে আরও একটি ছবি চোখের সামনে ভেসে উঠছে। আর তা হল ২০১১ সালের ২ এপ্রিলের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম।
একটি কোলাজ। একদিকে সচিন তেন্ডুলকার। আর অন্যদিকে লিও মেসি (Lionel Messi)। মিল কোথায়? আসলে কোথাও যেন মিলে গিয়েছে ভক্তদের আকাঙ্ক্ষা। দু'জনেই নিজেদের শেষ বিশ্বকাপে (World Cup) বাজিমাত করেছেন। দেশকে জিতিয়েছেন। আর স্বপ্ন সত্যি করেছেন বিশ্বের অগণিত ভক্তদের। সচিন সাইন অফ করেছিলেন। কিন্তু মেসি চালিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন, পার্থক্য এখানেই।
১৯৯২, ১৯৯৬ ১৯৯৯ ২০০৩ ২০০৭, এতবার বিশ্বকাপ খেলেও ঘরে কাপ আসেনি। সঙ্গী ছিল ব্যর্থতা। ২০১১ বিশ্বকাপ খেলার আগে সচিন জানিয়ে দিয়েছিলেন এটাই তাঁর শেষ বিশ্বকাপ। যদিও তাঁকে আর নিরাশ হতে হয়নি। নিজের দেশ। নিজের শহর। মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে কাপ তুলে নিয়েছিল ভারত। খালি হাতে ফেরেননি ভারতীয় ক্রিকেটের সেরা আইকন।
আরও পড়ুন- কখনও ট্রফি হাতে কাঁদছেন আন্তোনেল্লা, কখনও স্ত্রীয়ের ছবি তুলছেন মেসি, ক্যামের বিশেষ মুহূর্ত
সেই স্মৃতি যেন উসকে দিল মেসির শেষ বিশ্বকাপ। ক্লাবের জার্সিতে সব ট্রফি ছুঁয়ে দেখেছেন লিও। কিন্তু দেশের হয়ে কোনও কাপ জিততে পারেননি তিনি। শূন্য হাতে দেশে ফিরেছেন। প্রশ্ন উঠেছিল। ট্রোলের শিকার হয়েছেন। প্রশ্ন উঠেছিল তাঁর অবসর নিয়েও। কিন্তু পাখির চোখ ছিল ২০২২ বিশ্বকাপ। জানিয়ে দিয়েছিলেন, এটা তাঁর শেষ বিশ্বকাপ।
কাতার বিশ্বকাপে জ্বলে উঠলেন মেসি। নিজের শেষ বিশ্বকাপটি লাতিন আমেরিকায় নিয়ে ফিরলেন। আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জেতার পর মেসিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সচিন। আর নেট দুনিয়ায় ভেসেছে আবেগে। কারণ মাস্টার ব্লাস্টার আর ফুটবলের 'ঈশ্বর' লিওনেল মেসি দুজনেই যে শেষ বিশ্বকাপে নিংড়ে দিয়েছেন নিজেকে।