রিয়াল মাদ্রিদ (Real Madrid) ফের প্রমাণ করল কেন তারা সেরা। ফাইনালে উঠলে যে তাদের হারানো কঠিন, তা তারা আরও একবার দেখিয়ে দিল। লিভারপুলকে হারিয়ে এনিয়ে তারা ১৪ বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ (Champions League) খেতাব অর্জন করল।
লুকা মদরিচ, মার্সেলোদের দাপটে জবাব নেওয়া হল না লিভারপুলের। ২০১৮ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালেও তারা রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে যায়। সেই হারের বদলা নেওয়া তাদের এবারও হল না। রিয়াল ফাইনাল ম্যাচ জিতল ১-০ গোলে। ম্যাচে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ব্রাজিলিয়ান তারকা ভিনিসিয়াস জুনিয়র। এছাড়া দুর্দান্ত সব সেভ করেন গোলরক্ষক থিবো কুর্তোয়াও। তিনিই ম্যাচের সেরা।
Champions League Final: প্যারিসে ফুটবল মহারণ, ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদকে হারাতে মরিয়া লিভারপুল
ম্যাচের পরিসংখ্যান কিন্তু ফলাফলের উলটো কথা বলছে। লিভারপুলের আক্রমণের সামনে রীতিমত কোণঠাসা ছিল রিয়াল। রিয়ালের গোলে মোট ২৪টি শট নেয় লিভারপুল, যার মধ্যে ৯টি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে লিভারপুলের গোলে মাত্র ৪ শটের মধ্যে দুটি লক্ষ্যে রাখতে পেরেছিল রিয়াল। কিন্তু সেই দুটির মধ্যে একটিতে তারা গোল আদায় করে নেয়, অন্য শটও জালে জড়িয়েছিল কিন্তু অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায়। বাস্তবে ম্যাচে মাঠ জুড়ে দাপিয়ে খেলেছে জুরগেন ক্লপের লিভারপুল। কিন্তু সুযোগের পুরোটা কাজে লাগিয়ে শেষ হাসি হেসেছে রিয়াল। কার্লো আনসেলিত্তির কৌশলের কাছে হার মেনেছে জার্মান ক্লপের।
সমর্থকদের মাঠের বাইরের ঝামেলায় ৩৭ মিনিট দেরিতে শুরু হয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল। প্যারিসে ম্যাচটিতে প্রথমার্ধে লিভারপুলের আক্রমণের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি রিয়াল। তবে লিভারপুলের সামনে যেন দেওয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন থিবো কুর্তোয়া। ম্যাচের ঠিক ১৬ মিনিটের মাথায় লিভারপুলের মহমেদ সালাহর ক্লোজ রেঞ্জ শট বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে ফেরান থিবো। ২১ মিনিটে সাদিও মানে প্রায় গোলই পেয়ে যাচ্ছিলেন, কিন্তু এবারও থিবোর জেরে বেঁচে যায় রিয়াল। ৪২ মিনিটে সতীর্থের বাড়ানো থ্রো বল একদম এলিসনের সামনে পেয়ে গিয়েছিলেন বেঞ্জেমা। কিন্তু শট নেওয়ার জায়গা পাননি। পড়ে যাওয়ার সময় আলতো করে বল ঠেলে দেন ভালভার্দের দিকে। ভালভার্দেও ঠিকমতো শট নিতে পারেননি, বল গড়িয়ে আবার চলে যায় বেঞ্জেমার পায়ে। কিন্তু এবার আর ভুল করেননি ফরাসি ফরোয়ার্ড, তাঁর শট জড়িয়ে যায় জালে। কিন্তু অফসাইডের কারণে গোলটি হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধেও লিভারপুল একাধিক আক্রমণ চালায় কিন্তু রিয়ালের ত্রাতা ছিলেন সেই থিবো। ৫৪ মিনিটে আলেকজান্ডার-আর্নল্ডের শট ঝাঁপিয়ে পড়ে এক হাতে বের করে দেন তিনি।
৫৯ মিনিটে বক্সের মাঝে ভালভার্দের পাস যায় ভিনিসিয়াস জুনিয়রের কাছে। জুনিয়র ভুল করেননি। তিনি জালে বল ঠেলে দেন। এগিয়ে যায় রিয়াল। তারপর গোল শোধে মরিয়া হয়ে ওঠে লিভারপুল। কিন্তু ফের ৬৪ মিনিটে সালাহর বাঁ পায়ের দুরন্ত শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ফেরান থিবো। ৮২ মিনিটে বল থিবোকে একা পেয়ে গিয়েও গোল করতে পারেননি সালাহ।