আগামী ১ জুন থেকে শুরু হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম সংস্করণ। আমেরিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ যৌথ ভাবে বিশ্বকাপ আয়োজন করছে। শেষ বিশ্বকাপে ১৬টি দেশ অংশ নিলেও, চলতি বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে মোট ২০টি দেশ। মোট ২০টি দলকে ৪টি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে, প্রতিটি গ্রুপে ৫টি করে দল রাখা হয়েছে।
গ্রুপ এ-তে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান, কানাডা, আয়ারল্যান্ড, আমেরিকা। গ্রুপ বি-তে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নামিবিয়া, ওমান, স্কটল্যান্ড। গ্রুপ সি-তে রয়েছে নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আফগানিস্তান, পাপুয়া নিউগিনি ও উগান্ডা। আর গ্রুপ ডি-তে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, নেপাল, নেদারল্যান্ড।
উপরোক্ত ২০টি দেশের মধ্যে এবার বিশ্বকাপে অভিষেক হচ্ছে আমেরিকা, কানাডা এবং উগান্ডার। এই তিন দেশ প্রথমবার আইসিসির এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করবে।
যুক্তরাষ্ট্র
আইসিসির এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট হতে চলেছে। কারণ এই প্রথমবার আইসিসির টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলার সুযোগ পেয়েছে এই দল। এর আগে ২০০৪ সালে চ্যাম্পিয়স ট্রফি খেলেছিল এই দেশ। প্রায় দুই দশক পর ফের আইসিসির জন্য বাইশ গজে নামছে এই দেশ।
কানাডা
যুক্তরাষ্ট্রের মতো এই দেশেরও এটি প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তবে, এর আগে ১৯৭৯, ২০০৩, ২০০৭, ২০১১ মোট চারবার বিশ্বকাপ খেলেছে কানাডা। তবে, সেগুলি ৫০ ওভারের ফরম্যাট ছিল। যথেষ্ট অভিজ্ঞদের নিয়ে দল তৈরি করেছে কানাডা।
উগান্ডা
এই প্রথম টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য যোগ্যতা অর্জন করেছে আফ্রিকা মহাদেশের উগান্ডা। কোয়ালিফায়ার্সে প্রথম ম্যাচে তানজানিয়াকে হারায় উগান্ডা। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে নামিবিয়ার কাছে হেরে যেরে হয়। তবে, শেষ পর্যন্ত পরের চারটি ম্যাচে অপরাজিত থেকে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করে উগান্ডা।
এই তিনটি দেশ ছাড়াও নামিবিয়া, স্কটল্যান্ড, ওমান, পাপুয়া নিউ গিনি, নেদারল্যান্ডস এবং নেপাল- নয়টি অ্যাসোসিয়েট দেশ এবারের মেগা টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে।
দল বেড়ে যাওয়ার ফলে বিশ্বকাপের নিয়মেও বেশ কিছু বদল এনেছে আইসিসি
১. চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যদি কোনও ম্যাচ ড্র হয়, সেক্ষেত্রে সুপার ওভার খেলা হবে। সুপার ওভারে টাই হলে, আরও একটি সুপার ওভার হবে।
২.বৃষ্টি হলেও কমপক্ষে পাঁচ ওভার করে ম্যাচ খেলতে হবে। তবেই, সিদ্ধান্ত সম্ভব। আর নক আউট ম্যাচ হলে ১০ ওভার খেলতেই হবে।
৩. প্রথম সেমিফাইনালের ক্ষেত্রে রিজার্ভ ডে রয়েছে। কিন্তু গায়ানাতে দ্বিতীয় সেমি ফাইনালে কোনও রিজার্ভ ডে রাখা হয়নি। কারণ সেমিফাইনালের একদিন পরেই ফাইনাল ম্যাচ।
৪. সেমিফাইনাল কিংবা ফাইনাল ম্যাচে বৃষ্টি হলেও ১৯০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। ম্যাচ চালু সম্ভব হলে ২০ ওভারই খেলতে হবে।