ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম বা ইউটিউব- যে কোনও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মেই বর্তমানে রিলস বা শর্ট ভিডিওর দর্শকের সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। পাশাপাশি লং ভিডিয়োর তুলনায় শর্ট ভিডিয়ো তৈরি করাও সহজ। ফলে নিজের পছন্দের কন্টেন্ট তৈরি করছেন অনেকেই।
কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পেলেও প্রতিটি কন্টেন্ট কিন্তু ভাইরাল হয় না। কারণ সবার কন্টেন্ট ডলি চায়েওয়ালা বা ধ্রুব রাঠের সম মানের তৈরি করা সম্ভব হয় না। কারণ কিছু ভুল ত্রুটি থেকে যায়।
রিলস কিম্বা লং ভিডিও বানানোর ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলেই সহজেই আপনার তৈরি কন্টেন্ট হবে ভাইরাল। মুহূর্তে 'ফেমাস' হওয়ার সম্ভাবনা। তবে তার জন্য কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। জেনে নিন বিস্তারিত।
এই প্রতিবেদনে জেনে নিন ৭টি এক্সক্লুসিভ টিপস। যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই ভাইরাল রিলস তৈরি করতে পারবেন। জেনে নিন বিস্তারিত তথ্য-
থিম তৈরি-
কোনও একটি বিষয় নিয়ে থিম তৈরি করে তার উপর কন্টেন্ট তৈরি করা উচিত। এবং সেই থিমের কন্টেন্টের উপর ধারাবাহিকতা বজায় রাখা দরকার।
নির্দিষ্ট সময়ে কন্টেন্ট পোস্টিং
দিনের যে কোনও সময়ে যে কোনও কন্টেন্ট পোস্ট করা উচিত নয়। সোশাল মিডিয়ায় যে কোনও কন্টেন্ট পোস্ট করার নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। প্রতিটি অ্যাকাউন্টের ফলোয়ার্সদের অ্যাক্টিভিটি টাইম অনুযায়ী পোস্টিং টাইম বাছা উচিত।
স্টোরি টেলিং-
যেকোনও রিলস ভাইরাল করার গোপন রহস্য হল স্টোরি টেলিং। বর্তমানে সোশাল মিডিয়ার দর্শকরা যে কোনও স্টোরি দেখতে পছন্দ করেন। সেকারণে সোশ্যাল মিডিয়ায় কন্টেন্ট তৈরির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট স্টোরি রাখা জরুরি।
হ্যাসট্যাগের সঠিক ব্যবহার-
কোনও কন্টেন্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার আগে অবশ্যই ট্রেন্ডিং হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করা দরকার। এর ফলে রিলস বা লং কন্টেন্ট্রের ভিজিবিলিটি বৃদ্ধি পায়। অতি সহজেই ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
সঠিক মিউজিক ব্যবহার-
বিভিন্ন সময়ে সোশাল মিডিয়ায় একাধিক ট্রেন্ডিং মিউজিক থাকে। যেগুলি বিপুল পরিমাণে ভাইরাল হয়। কন্টেন্ট পোস্ট করার সময় অবশ্যই ট্রেন্ডিং মিউজিক ব্যবহার করতে হবে।
পরিসংখ্যান দেখা
প্রতিটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের একটি করে স্টুডিও ভার্সন থাকে। অর্থাৎ যেখান থেকে যাবতীয় পরিসংখ্যান দেখা সম্ভব হয়। বোঝা সম্ভব কোন ধরনের কন্টেন্ট দেখতে পছন্দ করছেন ফলোয়ার্সরা। সেকারণে নিয়মিত স্টুডিং ভার্সন দেখা উচিত।
উপযুক্ত মার্কেটিং-
প্রথম থেকেই যে প্রতিটি রিলস ভাইরাল হবে তা সর্বসময় সম্ভব হয় না। সেকারণে সঠিক ভাবে মার্কেটিং প্রয়োজন। দরকারে কোনও কমিউনিটি তৈরি করা উচিত। এবং তার মাধ্যমে কন্টেন্ট মার্কেটিং খুব সহজেই সম্ভব হবে।