মহাকাশে মৃত্যু! ভাবছেন বিরলতম ঘটনা? ততটাও বিরল নয়। বিগত ছয় দশকে প্রায় ২০ জন মহাকাশ্চারীর মৃত্যু হয়েছে পৃথিবীর বাইরেই। মহাকাশে মৃত্যু হলে কীভাবে সৎকার হয়, জানেন? নাসা-র কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে।
মহাকাশ পর্যটন এখন আর দিবাস্বপ্ন নয়, আকছার হচ্ছে, তাই অন্যান্য সব স্বাভাবিক ঘটনার মতোই মৃত্যু সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যও জেনে রাখা দরকার।
মহাকাশে কারোর মৃত্যু হলে কীভাবে হয় সৎকার?
লো আর্থ অরবিট মিশনে মৃত্যু হলে অর্থাৎ আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে মৃত্যু হলে মরদেহ ঘণ্টা খানেকের মধ্যে পৃথিবীতে পাঠানো হয় একটি ক্যাপসুলে করে। চাঁদে তেমন অঘটন ঘটলে মরদেহ বাকি মহাকাশ্চারীদের সঙ্গেই পৃথিবীতে ফেরে। সেটা খুব বেশিদিনের ব্যাপার নয় বলে আলাদা করে দেহ সংরক্ষণের প্রয়োজন হয় না।
কিন্তু মঙ্গল অভিযানে গিয়ে মৃত্যু হলেই সেসব নিয়ম একটু জটিল, কারণ এ ধরণের অভিযান অনেক দিনের হয়, যেহেতু পৃথিবী থেকে দূরত্ব বেশি। সে ক্ষেত্রে মরদেহ পৃথিবীতে ফিরতে প্রায় কয়েক বছর দেরি হতে পারে। মাঝের সময়টা মহাকাশযানের আলাদা চেম্বারে সংরক্ষিত হয় মরদেহ।
মহাকাশে মহাকাশযানের বাইরে যদি কেউ নির্দিষ্ট পোশাক ছাড়া বেরোন, কী হবে তাঁর? খুব সম্ভবত, তৎক্ষণাৎ মৃত্যু! অস্বাভাবিক নিম্ন চাপের ফলে এবং অত্যন্ত বেশি তাপমাত্রার ফলে নিঃশ্বাস নেওয়া যেমন দুষ্কর, পাশাপাশি রক্ত এবং শরীরের অন্যান্য তরল ফুটতে শুরু করবে। ধরে নেওয়া যাক মঙ্গলের মাটিতে পা রাখার পর কারোর মৃত্যু হল। সে ক্ষেত্রে তাঁর সৎকার হবে না। পৃথিবীতে না ফেরা পর্যন্ত দেহ একটি ব্যাগের মধ্যেই সংরক্ষিত হবে। '