৩১ জুলাই। আয়কর রিটার্ন ফাইল করার শেষ দিন। বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা গিয়েছিল, আয়কর রিটার্নের সময়সীমা বাড়ানো হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আয়কর দফতর জানিয়ে দিয়েছে ফাইলিংয়ের সময়সীমা বাড়ানো হবে না। তাই আজ এডিটরজি-তে রইল আয়কর রিটার্ন সম্পর্কিত লাস্ট মিনিট টিপস।
১. শেষ মুহূর্তে আয়কর ফাইল করার জন্য কোনও চ্যাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্টের সাহায্যের প্রয়োজন নেই। আপনি অনলাইনে ই-ফাইলিং পোর্টাল কিংবা অ্যাপ থেকেই রিটার্ন ফাইল করতে পারবেন ।
২.আয়কর রিটার্ন ফাইল করার জন্য ফর্ম ১৬, ফর্ম ১৬এ, ফর্ম ২৬এএস, আয়ের স্টেটমেন্ট আর কর ছাড়ের যাবতীয় প্রমাণপত্র সঙ্গে রাখবেন।
আয়কর জমা করার সময় কয়েকটি বিষয় নজরে রাখবেন। না হলে আটকে যেতে পারে রিফান্ড। রইল খুঁটিনাটি।
১. প্যান এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যদি করদাতার নামের বানান ভুল থাকলে রিফান্ড মিলবে না।
২. আয়কর রিটার্ন ফাইল করার সময় মিলিয়ে নিতে হবে যাতে ব্যাঙ্কের IFSC কোড কিংবা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নামে ভুল না থাকে। এক্ষেত্রেও রিফান্ড আটকে যেতে পারে।
৩.নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আইটিআর দাখিল করা গুরুত্বপূর্ণ। নির্দিষ্ট সময়ে দাখিল করলেই আয়কর বিভাগ আইটিআর যাচাই করবে এবং রিফান্ড পাঠাবে।
নির্দিষ্ট সময় আয়কর জমা না দিলে কী হবে?
৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আয়কর রিটার্ন ফাইল করতে হবে। যদি তা সম্ভব না হয়, সেক্ষেত্রে লেট ফাইন দিয়ে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ মধ্যে আয়কর রিটার্ন ফাইল করতে হবে।
এরপরেও যদি আয়কর রিটার্ন ফাইল না করা হয়, সেক্ষেত্রে আয়কর বিভাগ করদাতাকে নোটিস পাঠাতে পারে। এক্ষেত্রে ৫০ থেকে ২০০ শতাংশ জরিমানা করা যেতে পারে।
এমনকি, আয়কর রিটার্ন না করলে করদাতার বিরুদ্ধে মামলা করা হতে পারে। আয়কর আইনের অধীনে ৬ থেকে ৭ মাস পর্যন্ত জেল হতে পারে। তবে, মামলা তখনই করা সম্ভব যখন করের পরিমাণ ১০ হাজার টাকার বেশি হবে।