ল্যাপটপ কিনবেন ভাবছেন! কোন ধরনের ল্যাপটপ আপনি কিনবেন, তাই ভেবে পাচ্ছেন না। এই ধরনের সামগ্রী একবার দোকানে গিয়ে অর্ডার করে ফেললে, আর পাল্টানোর উপায় থাকে না। খরচ হয়ে যায় অনেক টাকা। প্রযুক্তি বা নিজের কাজের সম্পর্কে ধারণা না থাকলে, একা একা ল্যাপটপ কিনলে ঠকতে হবেই। অর্থাৎ আপনি যে কাজের জন্য কিনবেন ভাবলেন, সেটাই হল না। অথচ একসঙ্গে অনেক টাকা বেরিয়ে গেল। তাই ল্যাপটপ কেনার আগে নিজেরও প্রস্তুতি দরকার। কী কী মাথায় রাখবেন, জেনে নিন এক ঝলকে।
ল্যাপটপ কেনার আগে ভাল করে আপনি কী ধরনের কাজ করতে চাইছেন। আপনি অন্য কোথাও সেই কাজ আগে করলে, সেই ল্যাপটপ বা ডেস্কটপের কনফিগারেশন জেনে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। এরপর নিজের ল্যাপটপ সেই মতো কিনবেন। নিজের পুরনো ল্যাপটপ থাকলে, তা আপগ্রেডও করিয়ে নিতে পারেন। এতে খরচ অনেকটাই কম হয়। আর আপনি যদি ছাত্র-ছাত্রী হন, তা হলে অনেক সংস্থাই আলাদা অফার দেয়, সেই অফার গুলো দেখে রেজিস্ট্রেশন করে কিনে নিতে পারেন।
আরও কিছু জিনিস মাথায় রাখতে হবে। আপনি কোন প্ল্যাটফর্মে কাজ করতে সচ্ছন্দ। ম্যাক ওএস নাকি উইন্ডোজ। সেই অনুযায়ী সিপিইউ বেছে নিতে পারেন। অ্যাপল এম-২ সিরিজের দাম ১ লক্ষ টাকা থেকে শুরু। আরও অনেক মডেল আছে। তবে স্বস্তা ল্যাপটপ চাইলে উইন্ডোজে যাওয়াই ভাল। ২০ হাজার টাকা থেকে অনেক মডেল পেয়ে যাবেন। যে অপারেটিং সিস্টেমই কিনুন, এখন ৮ জিবি ব়্যাম সবথেকে বেসিক। চেষ্টা করুন ১৬ জিবি ব়্যাম রাখতে। এসএসডি হার্ডডিস্কই এখন সব থেকে এগিয়ে। সাইজে ছোট। অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়া যায়।
সিপিইউ বাছার ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকতে হবে। যদি ইনটেলের সিপিইউ নেন, তা হলে ১২ জেনারেশনের নিচে কিনবেন না। বাজারে ১৪ জেনারেশন নতুন এসেছে। যা ২৪ জেনারেশন পর্যন্ত আপগ্রেডও করা যাবে। শুধু তাই নয়, কোর দেখে নেওয়াও জরুরি। এইট কোর এখন সর্বনিম্ন। ২৪ কোর পর্যন্ত অনেক সংস্থা প্রসেসার আপগ্রেডও করার অপশন দেবে। আপনার প্রয়োজন থাকলে গ্রাফিক্স কার্ডও নিতে পারেন। কিন্তু সাধারণ কাজের জন্য গ্রাফিক্স কার্ড ছাড়াও কাজ চলে যাবে।
এছাড়া ল্যাপটপে কী কী পোর্ট আছে, তাও দেখে নিতে ভুলবেন না। ওয়াই ফাইয়ের ভার্সন, ব্লু-টুথ, ল্যান পোর্ট, হেডফোন, ইউএসবি পোর্ট, সবই দেখে নিতে হবে। অনেক মডেলে সি-পোর্টও থাকে। তাই কেনার আগে ভাল করে জেনে নেবেন।