দিন পাঁচেকের মেগা ইভেন্টে কত-শত মুহূর্তের জন্ম হল। সে সব মুহূর্তের সাক্ষী থাকল গোটা দেশ। বলছি, অনন্ত আম্বানি-রাধিকা মার্চেন্টের বিয়ে এবং বিয়ে সংক্রান্ত নানা অনুষ্ঠানের কথা। বিয়ের জাঁকজমক, বিলাস, আতিথেয়তা সব নিয়ে চর্চা হয়ে গেছে। তবে মুকেশ-নীতা আম্বানির ছোট ছেলের বিয়ে যে কতটা হাইটেক ছিল, জানলে অবাক হবেন। আমন্ত্রিতের এত লম্বা তালিকা, তাঁদের সকলকে ব্যক্তিগত ভাবে চিনতেন আম্বানিরা? যাদের চিনতেন না, তাঁদের এমনি এমনি ঢুকতে দেওয়া হয়েছে, ভাববেন না। তাহলে?
কিউআর কোড স্ক্যান করে তবেই প্রবেশ করতে পেরেছেন সকলে। নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে আম্বানি পরিবারের কাছের মানুষদেরও সেরকম করতে হয়েছে। এমন কি আলাদা আলাদা রঙের রিস্ট ব্যান্ড দেওয়া হয়েছিল।
মুম্বইয়ের জিও ওয়র্ল্ড কনভেনশন সেন্টারে তিনদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতদের জন্য ছিল নিরাপত্তার কড়া ব্যবস্থা। আমন্ত্রিতরা অনুষ্ঠানে হাজির থাকতে পারবেন কিনা, আগে জানাতে হয়েছিল একটি ইমেল বা গুগল ফর্মের মাধ্যমে
যারা জানিয়েছেন, তাঁরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন সকলের মোবাইল নম্বরে ঘণ্টা ছয়েক আগে কিউআর কোড পাঠানো হয়েছিল। ভেন্যুতে ঢোকার মুখে সেই কোড স্ক্যান করে তবেই ভেতরে প্রবেশ করার অনুমতি পাওয়া গিয়েছিল।
কোন আমন্ত্রিত অনুষ্ঠানের কোন দিকে যাবেন, তা চিহ্নিত না করে দিলে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলতা হতে পারে, তা এড়ানোর জন্য একাধিক রঙিন রিস্ট ব্যান্ড দেওয়া হয়েছিল আমন্ত্রিতদের। কেউ পরেছিলেন গোলাপি ব্যান্ড, কেউ লাল, কেউ আকাশি। গোটা জিও কনভেনশন সেন্টারকে অনুষ্ঠানের দিনগুলোয় বেশ কয়েকটি জোনে ভাগ করা হয়েছিল, রিস্ট ব্যান্ডের রং বলে দিয়েছে, কে কোন জোনে প্রবেশ করতে পারবেন। শুধু তাই-ই নয়, উপস্থিত অতিথিদের যদি আপতকালীন চিকিৎসার প্রয়োজন হয়, তারও ব্যবস্থা করেছিলেন আম্বানিরা।