কত স্বাদ করে নাম রাখা হয়েছিল ড্রিম বাজার। স্বপ্ন ছিল, আম জনতা আসবেন। এক ছাদের তলা থেকে বাড়ি নিয়ে ফিরবেন তাঁদের স্বপ্নের সামগ্রী। গত একমাস ধরে চলেছিল এই ক্যাম্পেন। ফেসবুক, টুইটার, সব জায়গাতেই চলেছে এই প্রচার। রবিবার সেই প্রচারের টানে দোকানের সামনে এসে হাজির হয়েছিলেন আম জনতা।
স্বপ্নের বাজার কিছুক্ষণের মধ্যে বদলে গেল দুঃস্বপ্নের বাজারে। দোকান খুলতেই চিচিংফাঁক। চল্লিশ চোরের বিরুদ্ধে একা ছিলেন আলিবাবা। কিন্তু এখানে সেই গল্প খাটেনি। রবিবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফুটে উঠেছে আর্থিক ভাবে ধুঁকতে থাকা পাকিস্তানের বাস্তব আর্থ-সামাজিক এই ছবি। যেখানে পুলিশের সামনেই চলেছে লুঠ। সময় লেগে মাত্র কয়েক মিনিট।
করাচির গুলিস্তানে একটি শপিং মল করার স্বপ্ন দেখেছিলেন এক ব্যক্তি। যিনি পাক নাগরিক হলেও থাকেন প্রবাসে। বেশ কয়েক বছর অনেক টাকা ঢেলে তৈরি করেছিলেন এই শপিং মল। উদ্বোধনের আগে ছাড়ের কথা ঘোষণা করে প্রচার করেছিলেন সমাজ মাধ্যেমে। কিন্তু তিনি হয়তো স্বপ্নে ভাবতে পারেননি, তাঁর দেশবাসী এভাবে লুঠ করে নিয়ে যাবে এই শপিং মলকে।
সেই লুঠের ছবি ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়। প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, দোকান খোলার অনেক আগে থেকেই ভিড় জমতে শুরু করেছিল। অভিযোগ করা হয়েছে, ঢিল, পাথর, লাঠি হাতে অনেক আগে থেকেই তৈরি ছিল এক শ্রেণির জনতা। মূলত, তাদের নেতৃত্বে নিমেশে লুঠ হয়ে গিয়েছে আস্ত একটা শপিং মল।
এই ঘটনা পাকিস্তান বলেই সম্ভব। দাবি করেছন নেট নাগরিকরা। কেউ বলছেন, আর্থিক ভাবে ভিখারি হয়ে গিয়েছে পাকিস্তান। শপিংমল লুঠের ছবিতেই তা স্পষ্ট। ওই ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে করাচি পুলিশ। কিন্তু দুষ্কৃতীরা অধরা।