'হয় এই জায়গা ছাড়ো নয় গ্রেফতার বরণ করো' প্রায় গত তিন সপ্তাহ ধরে চলা কানাডার বিশেষ কোভিড-বিধির ফলে সৃষ্ট সমস্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ট্রাক চালকদের জমায়েতকে ভঙ্গ করতে এমন নীতিই গ্রহণ করল অটোয়া পুলিশ।
কানাডার মার্কিন সীমান্তের মানিতোবার এমার্সনে লরি চালকদের জমায়েত ইতিমধ্যেই সরে গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, উত্তর ডাকোটার ক্রসিংও ফের খুলে দিয়েছে প্রশাসন।
এর আগে, অটোয়াতে সংসদের সামনে বিক্ষোভে জড়ো হওয়া প্রতিটি ট্রাকের দরজায় দরজায় গিয়ে কড়া নেড়ে পুলিশ রীতিমতো 'হুমকির সুরে' বলে আসছিল, এভাবে ট্রাকগুলি দাঁড় করিয়ে রাখলে তার ফল তো ভালো হবেই না, তাছাড়াও, লাইসেন্স সহ গোটা গাড়িটাই বাজেয়াপ্ত করা হতে পারে কানাডার আপৎকালীন আইন অনুযায়ী!
লিফলেটও বিলি করেছে পুলিশ। প্রতিবাদে বহু ট্রাক চালক সেই লিফলেট ছিঁড়ে ফেলেন। কেউ কেউ চেঁচিয়ে বলতে থাকেন, "আমি আর কখনও বাড়ি ফিরব না। এখানেই থাকব"। বহু ট্রাক চালক প্রতিবাদস্বরূপ ক্রমাগত হর্ন বাজিয়ে যেতে থাকেন।
সংসদ ভবনের সামনে ট্রাক চালকদের ধর্নায় হস্তক্ষেপ করেছিল পুলিশ। তবে, প্রাথমিকভাবে তাতে বিশেষ 'লাভ' হয়নি।
ট্রাক চালকদের বিক্ষোভকে বলপূর্বকভাবে তুলে দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে এতদিন পর্যন্ত পুলিশ তেমন উচ্চবাচ্য না করলেও বুধবার এই আন্দোলনের নেতারা চরমপন্থা গ্রহণের কথাই মনস্থির করেন।
ট্রাক চালকদের তরফে ডেভিড পেসলি নামের একজনকে বলতে শোনা যায়, "নিজের দেশের মাটিতে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে না পারার বিরুদ্ধে যদি সোচ্চার হয়ে জেলে যেতে হয়, তাও করব। স্বাধীনতার জন্য এর থেকে আরও অনেক বেশি কিছু হারাতে পারে মানুষ।" তিনি তাঁর ট্রাক চালকদের বন্ধুর সঙ্গে অটোয়াতে এসে আটকে পড়েছেন।
ট্রাক চালকদের আন্দোলনে সুপ বিক্রি করা মেরি আই-এর মতে আন্দোলনরত ট্রাক চালকদের পুলিশের 'ধমক' আসলে একটা কাগজের টুকরো ছাড়া আর কিছুই নয়! তাঁর মনে হয়, এই আন্দোলন ভঙ্গ করার মতো যথেষ্ট পরিকাঠামোই নেই পুলিশের কাছে।