কলকাতা পুরভোটে(KMC Election 2021) সবুজ ঝড়ে কার্যত উড়ে গেল গেরুয়া শিবির। বিধানসভা ভোটের মাত্র সাত মাসের মধ্যে বিজেপির(BJP) স্বপ্ন ধাক্কা খেল বলা চলে। ২০১০ সালে বিজেপি(BJP) কলকাতা পুরসভায় তিনটি ওয়ার্ড জিতেছিল। মাঝে ২০১৫ সালে সাতে উঠেছিল। কিন্তু ২০২১ সালে এসে ফের সেই তিনে এসে থামল। দলের শোচনীয় হারের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর মন্তব্য, ”কলকাতার ভোটে জয়লাভের জন্য নিজেদের পেশীশক্তি ব্যবহার করেছে তৃণমূল। গ্রাম-গঞ্জের ভোটে বোঝা যাবে, কার কত দম। এই ভোটে বিরোধীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলেছে।”
গেরুয়া শিবির কলকাতা নিয়ে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে ২০১৯ সালের লোকসভা(Loksabha Election 2019) নির্বাচনের ফলাফলের পরে। তারা হিসেব কষে দেখেছিল, সেই সময় কলকাতার ২২টি ওয়ার্ডে দল এগিয়ে ছিল। কিন্তু গত বিধানসভা নির্বাচনের হিসেবে ১০টি ওয়ার্ড হাতছাড়া হয় বিজেপির(BJP)। কলকাতা পুর এলাকায় বিজেপি(BJP) এগিয়ে ছিল ১২টি ওয়ার্ডে। আর এবার তারা পেয়েছে মাত্র তিনটি ওয়ার্ড। বড়বাজারের ২২ ও ২৩ নং ওয়ার্ড জিতলেও হাতছাড়া হয়েছে ৪২ নং ওয়ার্ড। ব্যক্তিগত ক্যারিশ্মায় জিতেছেন মীনাদেবী পুরোহিত এবং বিকাশ ওঝা। আর প্রথমবার লড়তে নেমেই ৫০ নম্বর ওয়ার্ডে জিতেছেন কংগ্রেস(Congress) থেকে আসা সজল ঘোষ। রাজ্য দফতর মুরলীধর সেন লেনের আশেপাশের তিনটি ওয়ার্ডের জয় পেল বিজেপি(BJP)।
তবে প্রার্থীপদ নিয়ে শুরু থেকেই বিতর্ক শুরু হয় রাজ্য বিজেপির(BJP West Bengal) অন্দরে। টাকা নিয়ে প্রার্থীপদ কেনার অভিযোগ ওঠে। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের(Sukanta Mujumder) পাশে দাঁড়িয়েও বিজেপি(BJP) নেত্রী রূপা গাঙ্গুলী(Roopa Ganguly) একহাত নেন দিলীপ ঘোষকে(Dilip Ghosh)। নির্বাচনের আগেই গৃহযুদ্ধে দীর্ণ হয় রাজ্য বিজেপি।
আরও পড়ুন- KMC Election 2021: বিতর্ক সঙ্গী করেও পুরভোটে জিতলেন তৃণমূল সাংসদ ও বিধায়করা
একটি বেসরকারি সমীক্ষা সংস্থার জনমত ও বুথ ফেরত সমীক্ষাতেও ১৩টি ওয়ার্ডে বিজেপি(BJP)-কে এগিয়ে রাখা হয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবার ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, সেই সমীক্ষার ধারকাছে যেতে পারেনি গেরুয়া শিবির। সাত থেকে তিনে নেমে আসার পাশাপাশি কমেছে তাদের ভোট শতাংশের হার। যা এবার দশের নিচে নেমে গিয়েছে। সব মিলিয়ে, কলকাতা পুরভোটের ফলে কার্যত ব্যাকফুটে রাজ্য বিজেপি।