ভারী বৃষ্টিতে ফুঁসছে উত্তরবঙ্গের অধিকাংশ নদী। বন্যা পরিস্থিতি (North Bengal Flood) দেখা দিয়েছে একাধিক জেলাতে। প্রবল জলের স্রোতে ভেসে গেল ডুয়ার্সের ডুডুয়া নদীর ওপর চিলার ঘাটের সাঁকো। তার ফলেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে সাঁকোয়াঝোরা ১ ও সাঁকোয়াঝোরা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের সবকটি গ্রামের। আশঙ্কায় দিন গুনছে গ্রামবাসীরা।
বুধবার সকাল নটা থেকে জলস্তর বাড়তে শুরু করে। নবনির্মিত সাঁকো প্রবল স্রোতে ভেঙে বেরিয়ে যায়। মোটা দড়ি দিয়ে সাঁকোটি গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছে। এতদিন এই সাঁকো দিয়েই ফালাকাটা, এথেলবারি, বীরপাড়া যেতেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এখন এলাকার মানুষকে ঘুরপথে যাতায়াত করতে হবে। স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা, টানা বৃষ্টি হলে এলাকা জলমগ্ন হবে। বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন দেখা দেবে। তাতে সমস্যা বাড়বে। এলাকা নৌকো থাকলেও, বর্ষার নদীতে তা দিয়ে যাতায়াত সম্ভব নয়।
নতুন করে ধস দার্জিলিংয়ে, তিস্তার নদীবাঁধ ভেঙে বন্যা পরিস্থিতি জলপাইগুড়িতে
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সদ্য এই সাঁকো বানানো হয়েছিল। সাঁকো বানানোর বিল এখনও মেটানো হয়নি। সাত দিন আগে প্রায় ৮০ হাজার টাকা ব্যয় সাঁকোটি নির্মাণ করা হয়েছিল। যোগাযোগ বন্ধ হয়ে বর্তমানে চরম সমস্যায় ভুগছেন দুপারের বাসিন্দারাই। বৃষ্টি থামলে আবার নৌকোতেই যাতায়াত করতে হবে। নতুন সাঁকো নির্মাণ ব্যয় সাপেক্ষ বলে চিন্তায় স্থানীয় বাসিন্দারা।
এদিকে জেলার নদীগুলোতে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে সেচ দফতর। ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে শুরু করেছে তিস্তা, জলঢাকা, মহানন্দা সহ উত্তরবঙ্গের অধিকাংশ নদীগুলো। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।