স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে। অলিম্পিকের মঞ্চে একটুর জন্য হাত ফস্কে গেছে মহিলা হকি দলের ব্রোঞ্জ। ইতিহাস লেখা হয়নি একটুর জন্য। এখানেই শেষ? হ্যাঁ, খবর এটুকুই। কিন্তু আড়ালের গল্প অনেকটা। প্রতিটা জয়ের গল্প যেমন তৈরি হয় অনেক হেরে যাওয়া দিয়ে, এই হারের গল্পে তেমনই লেগে আছে জিতে যাওয়া, জিতে নেওয়া।
১৯৮০-এর পর এই প্রথম অলিম্পিক হকিতে শেষ চারে উঠল ভারত। ভারতের জাতীয় খেলা হলেও অন্যান্য খেলার গ্ল্যামারের ছটায় বেশ কিছু বছর অবহেলিত থেকেছে হকি। আর মহিলা হকি? সে তো আরও অবহেলিত। ২০১৬, অর্থাৎ ঠিক আগের অলিম্পিকে ভারতীয় মহিলা হকিদলের স্থান ছিল দ্বাদশ। পাঁচটা বছরে ইতিহাসের চাকা ঘুরতে শুরু করেছে। ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা হাতে, হাতে, খাতার পাতায় লিখছে রানী রামপালদের নাম। এটা জয় নয়? গতবছরের সোনা জয়ী গ্রেট ব্রিটেনের কাছে এক সময় ২-০ তে পিছিয়ে থেকেই তৃতীয় কোয়ার্টারে স্কোর বোর্ড দেখিয়েছে ৩-৩, এটা জয় নয়? দীর্ঘ চার দশক পর মহিলা হকি দলের নাম খবরের শিরোনামে, জয় নয়? হার তো কেবল মুখোশ, মুখটুকু তো জয়ের। মুকুটটাও তাই-ই।