প্রত্যেক বছর প্রভাতী সংগীত ও বাউলের সুরে কাঁকসার কৃষ্ণপুর, বেতাসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে হয় গ্রাম পরিক্রমা। লালন ফকিরের গান আবার কখনও ভাটিয়ালির গান গেয়ে আনন্দ দেওয়া হয় বাচ্চাদের। গোপীনাথ বাস্কে তাঁর সঙ্গীকে নিয়ে সূর্য ওঠার আগেই গান গেয়ে ঘুম ভাঙান প্রান্তিক এই গ্রামগুলির বাসিন্দাদের। ভাইফোঁটার সকালে এই মনকেমন করা গান শুনে আনন্দে নেচে ওঠেন গ্রামের আবালবৃদ্ধবণিতা।
এলাকাবাসীরা জানান বাউল-ভাটিয়ালির এই প্রাচীন ঐতিহ্য আজও নবপ্রজন্মকে বার্তা দেয়। হারিয়ে যাওয়া সুর আজও জানান দিয়ে যায় এই এলাকাগুলিতে। তারাও ছোট থেকে দেখে আসছে বাউল গান ভাইফোঁটার সকাল থেকে। যদিও পরিস্থিতি আর আগের মতো নেই। তবুও কিছু বাউল শিল্পী বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করে প্রাচীন ঐতিহ্যকে।
Weather Update: কালীপুজো মিটতেই শহরে হিমেল হাওয়া, কুয়াশার চাদর জানান দিচ্ছে শীতের আর দেরি নেই
ভোরবেলা কুয়াশার মিষ্টি সোঁদা গন্ধে, বাউলের সুরে ঘুম ভাঙ্গে বিদবিহারবাসীর। কাঁকসার মেঠো পথ, বাউলের সুর জানান দেয় রাঢ়বঙ্গের ঐতিহ্য আজও বেঁচে আছে। বাউলের মধ্যে দিয়ে ভাইফোঁটার সকাল শুরু হয়। গানের মধ্যে দিয়েই ভাই-বোনদের মঙ্গল কামনা করা হয়। চলে একের পর এক গ্রাম পরিক্রমা।