কেরালার মধ্য-দক্ষিণ অংশজুড়ে বন্যা এবং ধ্বসের কারণে প্রায় ৬জন মারা গেছেন। এছাড়া বহু মানুষ এখনও নিখোঁজ। কোট্টায়াম, পাঠানামঠিট্টা, ইডুক্কি এই তিন জেলায় ক্ষতির পরিমাণ সর্বাধিক। স্হানীয় সূত্রে খবর, এই তিন জেলায় বহু মানুষ অতিবৃষ্টিজনিত দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।
শীর্ষ প্রশাসনিক বৈঠকের পর কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছেন কেরালার পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। তবে এই পরিস্থিতিতে হাল ছাড়ছেন না মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন। পাশাপাশি জানান, ভারতীয় সেনা, নৌসেনা এবং বায়ুসেনার কাছে সাহায্য চাওয়া হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে ১৮ অক্টোবর থেকে কলেজ খোলার কথা থাকলেও তা ২০ অক্টোবর থেকে খোলা হবে। পাশাপাশি শবরীমালা তীর্থযাত্রাও ১৯ তারিখ পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।
বিজয়ন সমস্ত জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে। কোভিডবিধি মেনেই যাতে ত্রাণশিবিরগুলি চলে, সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে।
যদিও আশার কথা শুনিয়েছে আবহাওয়া দফতর। শনিবার গভীর রাতে একটি টুইটে বলা হয়েছে যে রবিবার বিকেল থেকে কেরালায় তীব্র বৃষ্টির পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে।