ব্যারাকপুরে অন্নপূর্ণা মন্দিরের পাশে জজবাড়ির পুজোর আলাদা ঐতিহ্য আছে। প্রত্যেকবছর মহানবমীর দিন এখানে হয় কুমারী পুজো। আসানসোলের ট্রাফিক কলোনি দুর্গা পুজো কমিটির মণ্ডপেও কুমারী পুজো অনুষ্ঠিত হল।
বেলুড় মঠ, রামকৃষ্ণ মিশনের পুজো ছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন পুজোয় কুমারী পুজোর চল আছে। তবে কেউ মহাষ্টমীতে, আবার কেউ মহানবমীতে করে কুমারী পুজো। আদিশক্তির আরাধনায় দুর্গাপুজোর এই দুই তিথিতেই হয় কুমারী পুজো।
১৮৯৯ সালে প্রথম বেলুড় মঠে কুমারী পুজো চালু করেন স্বামী বিবেকানন্দ। সেই কুমারী পুজোয় বিবেকানন্দের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন শ্রীমা সারদাও। মহাষ্টমীর দিন দেবীর নয় রূপ হিসেবে নজন ষোড়শীর পুজো করা হয়। বেলুড় মঠের দুর্গাপুজোয় কুমারী পুজো শুরু করার অন্যতম কারণ রামকৃষ্ণদেব। রামকৃষ্ণদেব বিশ্বাস করতেন, দেবীকে মা রূপে পুজো করলে সাধনার সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে যাওয়া যায়। ষোলো বছরের কম বয়স, এমন মেয়েদের কন্যারূপে পুজো করে মাতৃ আরাধনা করা হয়।
বেলুড় মঠে ১২২ বছর ধরে নিষ্ঠা সহকারে কুমারী পুজো করা হয়। কিছু কিছু পুজোয় মহানবমীতে হয় কুমারী পুজো। এখন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে কুমারী পুজো হয়। মাতৃ আরাধনার শ্রেষ্ঠ উপায় এই কুমারী পুজো।