বর্ষা বিদায় নিলেও, নিম্নচাপের বৃষ্টিতে ভাসছে উত্তরবঙ্গ। কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে তিস্তার জল বাড়ছে। দুই জেলাতেই জারি হয়েছে লাল সতর্কতা। কোচবিহারে তোর্সা নদীতেও বাড়ছে জলস্তর। জলপাইগুড়িতে তিস্তার চর থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয় সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছে প্রশাসন।
প্রকৃতি এহেন রূদ্ররূপের জেরে চরম সমস্যায় পর্যটকেরা। দার্জিলিং, কালিম্পিং, সিকিমে আটকে পড়েছেন অনেকে। আটকে পড়া পর্যটকদের ফেরার জন্য উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। ব্যবস্থা করা হয়েছে বিশেষ বাসের।
প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত পাহাড়। শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং ও সিকিমের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। কালিম্পঙের বিরিক দারায় ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস নামে। ফলে শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং ও সিকিম সংযোগকারী জাতীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ।
অতিবৃষ্টি ও ধসের জেরে লাভা কার্যত লন্ডভন্ড। একাধিক জায়গায় বসে গেছে রাস্তা। লাভা থেকে গরুবাথান যাওয়ার রাস্তা বন্ধ।
লাগাতার বৃষ্টির মধ্যে মাটিগাড়ায় সেতু বিপর্যয়। ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর থাকা বালাসন সেতুর তিন নম্বর পিলার বসে গিয়ে বিপত্তি। ওই রুটে বন্ধ রাখতে হয়েছে যান চলাচল। সব মিলিয়ে শোচনীয় পরিস্থিতি উত্তরবঙ্গে।