এখনও পর্যন্ত দেশে কোভিডের নয়া প্রজাতি ওমিক্রনে (Omicron) আক্রান্ত হলেন ১৫৩ জন। মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) নতুন করে ৬জন ও গুজরাটে (Gujrat) নতুন করে ৪জন ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন। কেন্দ্র ও রাজ্যের রিপোর্ট অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ১১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ওমিক্রন ধরা পড়েছে। মহারাষ্ট্রে এখনও পর্যন্ত মোট ৫৪ জন ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন।
রাজধানী দিল্লিতে (Delhi) এখনও পর্যন্ত ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন ২২ জন। রাজস্থানে ১৭, তেলেঙ্গানায় ২০, কর্নাটকে ১৪, গুজরাটে ১১ ও কেরালায় ১১ জন ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন। অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, চণ্ডীগড় ও পশ্চিমবঙ্গেও একজন করে আক্রান্ত হয়েছেন ওমিক্রনে।
জানা গেছে, মহারাষ্ট্রে নতুন করে যে ৬ জন ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁরা সম্প্রতি বিদেশ থেকে ফিরেছেন। দুজন তানজেনিয়া, অন্য দুজন ইংল্যান্ড থেকে ফিরেছেন। একজন মধ্যপ্রাচ্যের কোনও দেশ থেকে মুম্বই এসেছিলেন। পাঁচজনের সম্পূর্ণ টিকাকরণ হয়ে গিয়েছিল। পুনের জুন্নার এলাকার পাঁচ বছরের শিশুও ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছে। মহারাষ্ট্র সরকার জানিয়েছে, দুবাই থেকে আসা একজনের সংস্পর্শে এসেছিল ওই শিশু। রাজ্যের মোট ৫৪জন ওমিক্রন আক্রান্তের মধ্যে ২২ জন মুম্বইয়ের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: দেড় থেকে তিনদিনের মধ্যে দ্বিগুণ হচ্ছে ওমিক্রন সংক্রমণ, জানাল WHO
গুজরাটে ইংল্যান্ড থেকে আসা ৪৫ বছরের এক প্রবাসী ভারতীয় ও এক কিশোরের শরীরে ওমিক্রন পাওয়া গিয়েছে। সুরাটের এক মহিলা ব্যবসায়ী সম্প্রতি দুবাই গিয়েছিলেন। তিনিও ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন। গুজরাটে এক তানজেনিয়ার নাগরিকও ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন। গুজরাট প্রশাসন জানিয়েছে, গত ১৫ ডিসেম্বর নন-রেসিডেন্ট এক ভারতীয় ইংল্যান্ড থেকে আমেদাবাদ এয়ারপোর্টে আসেন। বিমানবন্দরের RT-PCR টেস্টে তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। আমেদাবাদ থেকে গুজরাটের আনন্দ জেলায় যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। সেখানকার স্বাস্থ্য আধিকারিক ডক্টর এম টি ছারি বলেন, "পরে ওই ব্যক্তির শরীরে ওমিক্রনের নমূনা পাওয়া যায়। কোভিড পজিটিভ আসায় ওই ব্যক্তিকে আমেদাবাদ সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখন তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল।"
গুজরাটের গান্ধীনগরের ১৫ বছরের এক কিশোরও ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছে। ইংল্যান্ড থেকে ফিরেছে ওই কিশোর। গান্ধীনগরের মিউসিপ্যাল কমিশনার ধবল প্যাটেল এমনটাই জানিয়েছেন।
২৪ নভেম্বর প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকায় (South Africa) ধরা পড়ে কোভিডের নয়া প্রজাতি ওমিক্রন। এরপরই ২ ডিসেম্বর ভারতের কর্নাটকে (Karnataka) প্রথম দুজনের শরীরে পাওয়া যায় এই ভাইরাস।