প্রতিবছরের মতো এবছরও শান্তিনিকেতনের শ্যামবাটিতে ধুমধাম করে বসল গণ ভাইফোঁটার আসর। প্রচুর মানুষ অংশ নিয়েছিলেন এই গণ ভাইফোঁটা উৎসবে। বীরভূম জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর মানুষ আসেন শনিবার শ্যামবাটিতে।
কারুর ভাই নেই, আবার কারুর বা বোন। যাদের আছে তাদের আবার আর্থিক সামর্থ্য নেই ভাইফোঁটার আয়োজন করার। এরকমই বেশ কিছু মানুষকে নিয়ে শান্তিনিকেতনের শ্যামবাটিতে বেশ কয়েক বছর আগে শুরু হয়েছিল গণ ভাইফোঁটার অনুষ্ঠান। ধীরে ধীরে তা আকারে- আয়তনে বাড়তে থাকে। এ বছরও করোনাবিধিকে মান্যতা দিয়ে, সমস্ত সুরক্ষাবিধি মেনেই শ্যামবাটিতে অনুষ্ঠিত হল গণ ভাইফোঁটার এই উৎসব।
Bankura Nabadiganta: ভাইফোঁটার দিন ইন্দাসের গ্রামে গ্রামে ঘুরে বস্ত্রদান এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের
উদ্যোক্তাদের মতে, জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই উৎসবে মানুষ যোগ দেন। বছরের এই একটা দিন ভালোবাসার টানে দূরদূরান্ত থেকে শ্যামবাটিতে ছুটে আসেন বহু মানুষ।
'ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা, যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা', এই বিশ্বাস চিরন্তন সত্যরূপে বারবার ফুটে ওঠে বাঙালির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পূণ্যভূমিতে এই গণ ভাইফোঁটার আসর যেন তা আরেকবার মনে করিয়ে দিল।