জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণা এলে মানুষ পালাতে চায়, অন্তত কেউ কেউ, সেরকম খবর পাওয়া যায় আকছার। কিন্তু বছর ষাটের সুস্মিতা রায় চৌধুরী পালালেন না, বাছলেন 'স্বেচ্ছামৃত্যু'। বড় ভালবাসার, বড় আদরের জীবনের সঙ্গে আপস না করে নিজের পছন্দে বেছে নেবেন মনের মতো মৃত্যু, এমন বাসনা নাকি সুস্মিতার প্রথম থেকেই। নিজের কাছের মানুষদের তাই আগাম নিমন্ত্রণ জানিয়ে রেখেছিলেন মৃত্যুবাসরে উপস্থিত থাকার। শুধু বুঝতে দেননি 'এ দেখাই শেষ দেখা'। রোমহর্ষক সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানায় এই গল্প।
না, সুস্মিতা দেবীর অবসাদ হয়নি, মানসিক কোনও সমস্যা? তাও নয়। জরাজীর্ণ শরীরে মৃত্যুকে ভিক্ষা করবেন না, বরং অর্জন করবেন, তাই জীবন থেকে ছুটি নিলেন ডানলপের বাসিন্দা সুস্মিতা দেবী। যাওয়ার আগে স্বামী মুকুলের জন্য লিখে গেলেন ‘মুকুল, আমি চললাম। বিদুরের মতো তুমি দেখে রেখো। নিজে ভাল থেকো'। কার কার প্রতি কী দায়িত্ব, কার মাইনে বাড়াতে হবে, চিঠিতে লেখা রয়েছে সে সবও।
ভারতে ইউথেনেশিয়া বা ইচ্ছামৃত্যু বৈধ নয়। তাই সুস্মিতা দেবীর আত্মহত্যা কি আদৌ নৈতিক, সেই প্রশ্নই উঠছে। সব মিলিয়ে এমন ঘটনা রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে শহরে।