পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল ব্লকের ছোট্ট গ্রাম বীরসিংহ। সেখান থেকে কলকাতা এসেছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র। বাংলা ভাষার জন্য ত্যাগ করেছিলেন সবকিছু। বাংলার বুকে বর্ণপরিচয়ের জন্মদাতা বিদ্যাসাগরের ২০১তম জন্মবার্ষিকী কাটল প্রায় অবহেলাতেই।
এদিন টুইট করে শ্রদ্ধা জানান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্রদ্ধা জানিয়েছেন কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। শাসকদলের পক্ষ থেকে কলেজ স্কয়্যারে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বিদ্যাসাগরের মূর্তিতে মাল্যদান করেন তিনি। ছিলেন কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য অতীন ঘোষ ও দেবাশিস কুমার। ব্রামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসুও বিদ্যাসাগরের মূর্তিতে মাল্যদান করেন।
বাংলা ভাষার জন্য আজীবন লড়াই করেছেন। ব্রিটিশ ভারতে বাংলা ভাষায় শিক্ষাদানের জন্য লড়ে গেছেন ঈশ্বরচন্দ্র। একের পর আঘাত এসেছে পরিবারে। পাশে দাঁড়াননি কোনও ভাই বা বন্ধু। প্রবল আর্থিক কষ্টের মধ্যেও বাংলা ভাষাকে দিয়ে গিয়েছে হাজারও মণিমাণিক্য। গত বছর সাড়ম্বরে পালিত হল বিদ্যাসাগরের দ্বিশত জন্মবার্ষিকী। বছর ঘুরতেই সেই একই ছবি। বিদ্যাসাগরের জন্মদিন, সেটাই মনে রাখেনি বাঙালি। বাংলা ভাষা নিয়ে এই লড়াকু যোদ্ধা আড়ালেই থেকে গেলেন।