দেবী দূর্গা, তাও আবার নীল রঙের? শুরুতেই কেমন যেন খটকা লাগে। কৃষ্ণনগরের এই দেবী তাঁর এই রঙেই আলাদা হয়ে গেছেন অন্যান্যদের চেয়ে। কিন্তু হঠাৎ কেন নীল হলেন দেবী? তাঁর এই নীল রঙের পেছনে রয়ে গেছে এক সুদীর্ঘ ইতিহাস।
২৮৮ বছরের প্রাচীন এই পুজোর শুরু হয়েছিল বর্তমান বাংলাদেশ, অধুনা পূর্ব পাকিস্তানের বরিশালের এক ছোট্টো গ্রাম বামরাইতে। তারপর ১৯৪৬ সালে দেশভাগের যন্ত্রণা বুকে নিয়ে ভারতে চলে আসেন চট্টোপাধ্যায় পরিবার। কিন্তু তারপরেও পুজো ছাড়েন নি। ১৯৪৮ সাল থেকে এক টানা চলে আসছে এই নীলদূর্গার পুজো। তবে দেবীর এই গাত্রবর্ণ নিয়ে রয়েছে একাধিক মিথ। মার্কেন্ডেয় পুরাণেও এই নীল দূর্গার কথা পাওয়া যায়। কথায় কথায় তেমনই এক মিথকে তুলে ধরলেন এই পরিবারের এক সদস্য।
বাইটঃ চঞ্চল চট্টোপাধ্যায়, পরিবারের সদস্য (00:29-00:55)
আগে একটাই পুজো ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে সংসার বাড়ার ফলে পুজোর সংখ্যাও বাড়ে। ১৯৯৮ সাল থেকে দুটো পুজো শুরু হয় এই পরিবারে। তবে এই প্রতিমার বেশ কিছু বিশেষত্ব রয়েছে। এঁর একদিকে থাকে লক্ষী ও কার্তিক, অন্যদিকে থাকে গণেশ ও সরস্বতী। শাক্ত মতের এই পুজোয় প্রথমে মোষ বলি হলেও পশ্চিমবঙ্গে আসার পর পাঁঠা বলি হত। তবে ২০০৬ সাল থেকে হাইকোর্টের রায়ে তা বন্ধ হয়ে যায়। এই দুর্গার ভোগেও ছিল বৈচিত্র্য। মহাপ্রসাদের পাশাপাশি, পোলাও, মাছ ভোগ, ৫ রকম ভাজা, ৩ রকম সব্জি ইত্যাদি। তবে এই করোনা আবহে পুজো থেক শুরু করে আড়ম্বর, সবেতেই এসেছে কড়াকড়ি।
বাইটঃ চঞ্চল চট্টোপাধ্যায়, পরিবারের সদস্য (03:52-04:21)
তবে সবকিছুর পরেও চট্টোপাধ্যায় পরিবারের সকলেই চাইছেন যাতে মা তাঁদের এবং গোটা বিশ্বের সকলকেই এই অতিমারী করোনার প্রকোপ থেকে বাঁচিয়ে দেন। অভয়াশক্তিধারী মা এসে এই অভয়ের বিনাশ করুন, এটাই এখন চাইছেন প্রত্যেকে।